২০২২ সালের নতুন ৫টি বাংলা কবিতা যা না পড়লে চরম মিস করবেন |
২০২২ সালের নতুন ৫টি বাংলা কবিতা যা না পড়লে চরম মিস করবেন
কবিতা: অদৃশ্য সুখ।
©️সাজ্জাদ✍️
সব কিছু ঠিকঠাক, তবু যেন কি নেই
হাত আছে, পা আছে, বলবার মুখ নেই।
চেনা পথ ভুলে গেছি, সব পথ বন্ধ
সব আছে ঠিকঠাক, আমি কেবল অন্ধ।
চারিদিকে শুনশান, মানুষের ছায়া নেই
দরজায় তালা দেওয়া, নগরীর ভয় এই।
সব পথ ভুলে গেছি, সব স্মৃতির আড়ালে
কথাগুলো আছে লেখা ক্ষয়হীন দেয়ালে।
মনুষ্যত্ব হারিয়েছে, ভালোবাসা আর নেই
বৃদ্ধাশ্রমে বাবা আছে, পথশিশুর ছাদ নেই।
খাতা-কলম সব আছে, লিখবার শব্দ নেই
চেতনার জয় হোক, বাক-স্বাধীনতা এই।
একমুঠে ভাত পেলে কারো যেন বাঁচে প্রাণ
অভাগীর স্বর্গে সব যেন কারো দান।
গাড়ি আছে, বাড়ি আছে তবু মনে সুখ নেই
রাস্তার যনযাটে প্রানহীন দেহ এই।
পলাবার পথ নেই, পথিকের খেয়ালে
মাঝরাতে হুংকার দিয়ে ওঠে শেয়ালে।
ব্যাংকে টাকা আছে, জমাবার আয়ু নেই
প্রাণ কাঁপে দুরুদুরু হর্নের আওয়াজেই।
ভুলে গেছি সব স্মৃতি, ভুলে গেছি সব দিন
পৃথিবীর পথে কেবল বাড়িয়েছি কিছু ঋণ।
কবিতা : ছেড়ে যাওয়াতেও ভালোবাসা থাকে
লেখক : চন্দ্র শেখর
আবার দেখা হবে কোনো এক বিকেলে
ব্যস্ততার শহরে থমকে যাবো দুজনে
হাজারো লোকের ভিরে এ চোখে খুঁজে নেবে তোমাকে।
অভিমানী চোখ তোমার
আমার মুখে একরাশ হাসি
নেই কোনো অনুরাগ
আজো তোমায় ভালোবাসি ।
ছেড়ে গিয়েছি বলেই কি ভালোবাসা নেই
যারা ছেড়ে চলে যায় তারা কি ভালোবাসতে জানে না?
নাকি ছেড়ে যাওয়াতে ভালোবাসা থাকতে নেই ।
ভালোবাসা মানে শুধুই বুঝি একসাথে থাকা,
তাই যদি হবে
নীরবে চোখের জলে কারো আঁচল কেনো তবে ভেজে ।
কখনো কখনো ছেড়ে যেতে হয় ভালোবাসি বলেই
তুমি কি করে বুঝবে তা অভিমানী মনে।
তুমি তো আজ চড়ুই পাখি
আমি তো সেই বাবুই
যদি বলি তোমাকে ভেজাবো না বলেই
ছেড়ে গেছি চলে ।
ভালো থেকো চুড়ুই পাখি
তুমি ভালো থেকো।
কবিতাঃ নতুন বছর
✍️**জেসমিন আক্তার ***
দুয়ার খুলিয়া রাখি
নতুন বছর কে আগমন করি,,
ভোড়ের কুয়াশা ভেজা সকাল বেলা
ঠান্ডা তীব্র বাতাসের আগমন হাওয়া,,
হাওয়াই দোলে গাছের পাতা★★
নানান ঝতু নানান রঙ্গে প্রকৃতি আজ নতুন করে সাজে
নতুন বছর নতুন আনন্দে
নতুন ছন্দে, কাটুক জীবন
কবিতাঃ অভিমানী_মন
লিখাঃ অদ্বিতীয়া দাস
কথা দিয়েই অনেক কিছু প্রকাশ করা হয়। কথা বলার ধরণই বলে দেয় বিপরীত মানুষটি আপনার উপস্থিতিতে আনন্দিত নাকি বিরক্ত।
ফোনে কথা বলার সময়ও আপনার কল সে স্বাভাবিক ভাবেই রিসিভ করেছেন? নাকি একরাশ বিরক্তি নিয়ে রিসিভ করে ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন এটাও ঠিক বোঝা যায়।
দুই একটা কড়া শব্দের ব্যবহার করে আপনার মনে ক্ষত তৈরি করে দিয়ে পরে দুঃখী দুঃখী ভাব নিয়ে বলবে সরি, আর এমন একটা উদ্ভট এক্সকিউজ দেবে যেন তিনি পুরো পৃথিবী শাসনে ব্যস্ত ছিলেন।
সম্পর্ককে গুরুত্ব দিতে গিয়ে নিজের মনের গোপন ক্ষতটা একান্তে লুকিয়ে বলতে হয় "না ঠিক আছে"।
একটা মানুষ কতটা দুশ্চিন্তা করলে তাঁর প্রিয় মানুষের কাছে যায় বা ফোন করে খবর নেয় এটা বোঝার ক্ষমতা হয়তো সবার থাকে না।
প্রিয় মানুষটার অল্প কিছু ভালো কথায় যার সব কিছু ভালো হয়, সেই প্রিয় মানুষের মুখ থেকে যখন অকারণে কড়া কথা বের হয় তখন বিপরীতের মানুষটার কতো টা খারাপ লাগে সেটা বোঝার ক্ষমতাও সবার থাকে না।
আমার সমস্ত ব্যস্ত সময়েও সে সমান গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দিনশেষে আমি শুধুই তার অবসর মাত্র।
তার ব্যস্ততা আমি বুঝে নিতে পারি, আমার দুশ্চিন্তা গুলো সে কখনোই বুঝবে না।
কখনো কখনো ভালোবাসা, উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা প্রকাশ করতে নেই। যদি বিপরীত মানুষটা সামান্য বিরক্ত হয় তবে নীরব হয়ে যাওয়াই ভালো।
সে সত্যিই আমার হলে আমার নীরবতার কারণ ঠিক খুঁজে নেবে।
কবিতাঃ কল্পনা।
কলমেঃআ ই রি ন।
যখন ধরার মাঝে আঁধার নামে
সব কোলাহল থামে,
পাখিরা ঘুমায় নীড়ে,
আমি লিখতে বসি তোমায় নিয়ে।
মোমবাতির ঐ আবছা আলোয় লিখে যাই আনমনে।
হঠাৎ মোমবাতি আমায় জিজ্ঞেস করে বসে;
কিরে কাকে নিয়ে লিখিস এতো ক্ষণে ক্ষণে?
সে ও কি আমার মতো ভালোবাসে?
আমি যেমন ভালোবেসে বুকে জায়গা দিয়েছি সুতাকে।
সে ও কি আমার মতো কাঁদে?
বলনা রে!
সুতা যখন আগুনে জ্বলতে রয়,
আমি যেমন কান্না করে নিজেকে করি ক্ষয়।
আমি কোন উত্তর দিলাম না,
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে খুলে দিলাম জানলা।
হঠাৎ হালকা বাতাসে মোমবাতির আলো কাঁপে,
মোমবাতি নিভে যায়।
বিদঘুটে অন্ধকারে বসে আমি
তোমায় নিয়ে ভেবে যাই।
আমার ভেতরটা খুব কাঁদছে,
তোমার কাছে ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে।
কিন্তু চাইলেও কি যাওয়া যায়?
তুমি যে আজ অনেক দূরে।
হ্যাঁ,অনেক বেশিই দূরে।
তুমি কি জানো?
আজও আমি তোমায় নিয়ে কতটা ভাবি?
কতটা নির্ঘুম রাত্রী কাটিয়ে দি!
জানো না!
জানবেও না কোনদিনও!
0 Comments